নতুন ওয়েবসাইট বানাবেন? ডোমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে কি জানা প্রয়োজন ?

কি চিন্তা করে ও কি ভাবে ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করবেন?

 Bubblewsডোমেইন রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রথমেই মনে রাখবেন আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ নাম ব্যবহার করাই উচিৎ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে আপনার পছন্দের ডোমেইন টি আগেই অন্য কেউ কিনে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে আপনার পছন্দের ডোমেইন এর নামের আগে বা পরে ছোট করে কিছু জোগ করে দিলেই দেখবেন, আপনি আপনার ডোমেইন টি রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন কিছু জোগ করলে
ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অনলাইন এ আপনি অনেক ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে আপনি আপনার ডোমেইন রেজিঃ করতে পারবেন। পেপাল, মাস্টার কার্ড এর সমস্যা না থাকলে গো ডেডি বা নেম চিপ থেকে নিশ্চিন্তে আপনার ডোমেইন রেজিঃ করতে পারেন। এ সুবিধা যদি না থাকে তবে আপনাকে দেশি কোন কোম্পানির থেকে ডোমেইন কিনতে হবে। কিন্তু সাবধান! কারণগো ডেডি বা নেম চিপ যেমন আপনাকে ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল দিবে, দেশের বেশির ভাগ আজে বাজে হোস্টিং প্রতিষ্ঠানই আপনাকে আপনার ডোমেইন এর কন্ট্রোল প্যানেল দিতে চাইবে না। তারা নানা তাল-বাহানা করে। অনেকেই বলেন যে ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল দরকারী নয়। কিন্তু কথাটা পুরোপুরি মিথ্যা বা ভূল। কারণ আপনি যদি ডোমেইন ট্রান্সফার করতে চান, বা নতুন হোস্টিংএ যেতে চান, তাহলে আপনার ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল থাকতেই হবে। আর কোম্পানিগুলো যদি আপনাকে ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল না দেয়, তাহলে আপনি এক কথায় তাদের হাতে বন্দি। দেশে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই সেবাটি দেয়। মনে রাখবেন, ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল এবং হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল পুরাই আলাদা জিনিস। বেশির ভাগ বাংলাদেশি হোস্টিং কোম্পানি সাধারণত হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল দেয়, ডোমেইনেরটা দেয় না।

হোস্টিং কেমন হওয়া উচিত?

হোস্টিং নির্বাচন করা কিছুটা কঠিন বিষয়। আপনার ওয়েবসাইট এর চাহিদা মত আপনাকে শেয়ারড, ভিপিএস কিম্বা ডেডিকেটেড হোস্টিং প্যাকেজ বেছে নিতে হবে। এই ব্যাপার টা সম্পূর্ণ আপনার ও আপনার ওয়েবসাইট এর উপর নির্ভর করে। ছোট খাটো ওয়েবসাইট এর জন্য শেয়ারড হোস্টিং ভালো। অনেক ভিজিটর আছে এমন ওয়েবসাইট চালাতে হলে ভিপিএস লাগবে। আপনার ওয়েবসাইট এর সাইজ এর উপর নির্ভর করে হোস্টিং এর ডিস্ক স্পেস বাছাই করুন। আজকাল সস্তায় ১ জিবি হোস্টিং পাওয়া যায়। তবে আমি মনে করি ৫০০ মেগা বাইট ছোট ওয়েবসাইট এর জন্য যথেষ্ট। ইমেইল , ব্যান্ড উইথ, এফ টি পি, ডাটাবেস ফিচার গুলো বুঝে শুনে বাছাই করুন। মনে রাখবেন আন লিমিটেড ব্যান্ড উইথ ফিচার যুক্ত হোস্টিং প্যাকেজ ভালো। এতে কোনো মাসে হঠাত আপনার ওয়েবসাইট এ বেশি ভিজিটর এলে সমস্যা হবে না।

অপারেটিং সিস্টেম কি হলে আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো হবে?

আপনি কোন সার্ভারে হোস্টিং কিনছেন সেটা আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার এর কাছ থেকে জেনে নিন। সার্ভার সাধারণত উইন্ডোজ বা লিন্যাক্স হয়ে থাকে। বেশির ভাগ শেয়ারড হোস্টিং অপারেটিং সিস্টেম লিন্যাক্সে থাকে।

সাবডোমেইন আপনার দরকার আছে কি?

সাবডোমেইন কতটি করে পাচ্ছেন এটিও একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। একই ওয়েবসাইট এর ভেতর আপনি সাব ডোমেইন এর মাধ্যমে ব্লগ, ফোরাম ও বিভিন্ন রকম সার্ভিস দিয়ে আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট খুতে পারেন। এই ক্ষেত্রে মূল ডোমেইন কিন্তু একটাই থাকবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে কমদামে হোস্টিং নিতে গেলে এইগুলা পাওয়াই যায় না। তবে নুন্যতম সাব ডোমেইন সুবিধা না থাকলে তাদের কাছ থেকে হোস্টিং না নেওয়া ভালো। দামি দামি হোস্টিং প্যাকেজ গূলোতে সব ফিচার গুলো পাওয়া যায়।

সার্ভার আপটাইম কি প্রয়োজনীয় কোনো বিষয়?

সবাই আপনাকে বলবে ৯৯.৯% আপটাইম!!! আপনার সাইট যত বেশি আপটাইমের হবে, তত ভাল। সার্ভার লোকেশন, সার্ভার পিসির স্পিড/কনফিগারেশন ইত্যাদিও গুরুত্বপূর্ণ। ৯৯.৯ % অফার আছে এমন হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং না নেওয়ায় ভালো। কারন তাদের সার্ভার মাসে ৪৩.২ মিনিট বন্ধ থাকবে। এই সময় কোনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট এ ঢুকতে পারবে না। অপর দিকে, যেসব হোস্টিং কোম্পানি ৯৯.৯৯৯% আপ টাইম দেয়, তাদের সার্ভার মাসে মাত্র ২৫ সেকেন্ড বন্ধ থাকে।
তাহলে যেসব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান ৯৯.৯৯৯% সার্ভার আপ টাইম দেয় তাদের থেকে হোস্টিং নেওয়া উচিত।
সাপোর্ট সিস্টেম সম্পর্কে জেনে নিনঃ
বিপদে পড়লে সার্ভার হোস্টিং সাপোর্ট ছাড়া আপনাকে কেউ বাচাতে পারবে না। তাই মেইল বা ফোন সাপোর্ট একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। এটি মাথায় রাখতেই হবে।

2 comments:

  1. খুব কাজের টপিক। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আসলে প্রত্যেকের সচেতন হওয়া উচিত ।আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে আমার বিশ্বাস । এর আগেও একটা টিপস্ পেয়েছিলা এই টিপসইটও অনেক উপকারী। যার দরকার হবে দেখতে পারেন। আবারো লেখককে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। তবে এরকম আরো একটি লেখা পড়েছিলাম ।। http://muktomoncho.com/archives/385

    ReplyDelete